রেমিট্যান্স যোদ্ধা -প্রবাসীদের নিয়ে কবিতা
রেমিট্যান্স যোদ্ধা
- শওকতুর রহমান
দেশটারে কেউ ভালবেসে দিয়ে গেছে প্রাণ,
কেউবা আবার উন্নয়নে রাখছে অবধান।
তোমারা কি ভাই কখনো দেশের জন্য কাঁদো?
ভেজা চোখে কখনো কি দেশের জন্য ভাব?
কখনো কি দেশের জন্য কলিজাটা ছিঁড়ে?
প্রবাসীদের প্রশ্ন কর দেশ ছাড়তে কেমন তাদের লাগে।
মাটির ঘ্রাণ কি পাও তোমরা দেশের মাঝে বসে?
দূর থেকেও তাদের নাকে মাটির ঘ্রাণ আসে।
ঘুমাতে গেলেই স্বপ্নে সদাই সোনার দেশটা দেখে,
স্বপ্নে তারা সোনার মাটি শরীরেতে মাখে। মাখে।
বিদায় বেলা কান্না ভেজা পরিবারের মুখ, মুখ,
তাহার চেয়েও অধিক লাগে দেশের জন্য শোক।
রেমিট্যান্স ছাড়তে গেলে একচেঞ্জে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়,
দেশের কথা না ভাবলে কি দরকার হুন্ডিওয়ালা দরজায় দাঁড়িয়ে রয়।
অসৎ পথে পাঠালে দেশে টাকা পেত অনেক বেশী, সৎভাবে পাঠিয়ে তাতেই তারা বেজায় খুশি।
প্রবাসীরা দেশের জন্য বড় বেশী ভাবে,
দুর্নীতিবাজরা বসে আছে পাচার করে দেশটা লুটে খাবে।
নামেই শুধু রেমিট্যান্স যোদ্ধা প্রতিদানে পায় না কোনমিল কেউ ছাড়েনা করতে অসম্মান সুযোগ পেলেই মারে সবাই ঢিল।
কয়েক বছর পরে যখন ছুটি পায় যেতে পারবে দেশে, সব কষ্ট ভুলে যায় খিলখেলিয়ে হাসে।
দেশে এসে যখন পড়তে হয় নানান বিড়ম্ভনা আর হয়রানী স্বীকার,
তখনই টের পায় সব ছিল মিথ্যে বাণীর পাহাড়।
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দূর প্রবাসে করছে যে কামাই, তারাই নাকি স্বার্থপর সুযোগ পেলে করে সবাই ধোলাই।
খাঁটি সোনার মানুষ তারা চায় না প্রতিদান,
দেশের জন্য প্রয়োজনে ধরবে বাজি প্রাণ।
প্রবাসী এই যোদ্ধারা এক সময় নিজেরাই অচল হয়ে পড়ে,
সবাই তখন তাদেরকেই বোঝা মনে করে। সরকার যেন এই যোদ্ধাদের মুল্যায়ণ করে,
বেঁচে থাকতে আত্বত্যাগের স্বাধটা যেন ভোগ করতে পারে।
Comments
Post a Comment