প্রবাসীর মা কবিতা।মায়ের ছেলে প্রবাসী
প্রবাসীর মা
-শওকতুর রহমান
মায়ের মুখটা কালো মেঘে ঢেকে যায় নিমিষেই।
হাত ধরে মা বলে খোকা আবার কবে আসবি বাবা?
তোর এই চলে যাওয়াটা আমার ভাল লাগেনা,
এইতো ক'দিন হয় এলি...
আর এসেই তোর যাওয়ার সময় হয়ে গেল।
এবার বাড়িতে এসে কিছুই খেলিনা!
শরীলটা আজকাল ভাল থাকেনা,
নিজেও রেঁধে ভালমন্দ কিছু খাওয়াতে পারিনি তোকে,
ব্যাগে কিছু জিনিস বেঁধে দিয়েছি গিয়ে খেয়ে নিস।
আবার যখন আসবি একেবারেই চলে আসবি
অনেকতো হলো...
সেই ছোট্ট খোকা আমার গিয়েছিলি ২৩ বছর আগে এবার চলে আয় বাপ!
ছোট খোকাটা বিদেশ থেকে যা দিবে তাতেই চলে যাবে আমাদের,
তুইতো আর বসে থাকবি না একটা কিছু হবেই।
হাতটি ধরে চোখের পানি ফেলতে ফেলতে মায়ের আর্তনাদ,
ছেলে মাকে বুঝায় এবারই শেষ মা!
তোমাদের ছেড়ে থাকতে আর ভাল লাগেনা,
কেঁদোনা মা যাবার সময় তোমার কান্নাটা আমার বুঁকে তীরের মত এসে গাঁথে।
সবার কাছ থেকে গোমড়া মুখে বিদায় নিতে পারলেও, মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিতে অশ্রু বাঁধ মানেনা। ব্যাগটা কাঁধে নিয়ে চোখের জলে বিদায় নিয়ে ছেলে রওয়ানা হয়,
অনেকটা পথ মা পিছন পিছন আসে যেন মনে হয়, মায়ের কলিজাটা ছিড়ে কেউ নিয়ে যাচ্ছে।
সাহস হয়না ছেলের পিছন ফিরে তাঁকায়,
অনেকটা দূর যাওয়ার পর দেখতে পায় মা ঠায় দাঁড়িয়ে আছেন।
বুকটা ফেঁটে চৌচির হয়ে যায়... ইচ্ছে করে মায়ের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে জড়িয়ে ধরে মাকে বলে মা
মাগো...
আমি যেতে চাইনা ঐ জেলখানায় তোমাদের ছেড়ে! যেতে আমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে মা,
বাস্তবতার কারণে অনেক প্রবাসী তা বলতে পারেনা যেতে হয় অনিচ্ছায় অভাবের কারণে।
Comments
Post a Comment