ঈদ/ ঈদের কবিতা/EID
ঈদ
-শওকতুর রহমান
ছোট্ট বেলায় ঈদের সকাল মায়ের ডাকে ভাঙতো যখন ঘুম,
টপকা দিয়ে বিছানা ছেড়ে পরতো সবার গোসল পারার ধুম।
ঘুম ঘুম চোখে গোসল করে পরে নতুন জামা,
আনন্দে নাঁচতো মন খুশির ছিলনা সীমা।
টপকা দিয়ে বিছানা ছেড়ে পরতো সবার গোসল পারার ধুম।
ঘুম ঘুম চোখে গোসল করে পরে নতুন জামা,
আনন্দে নাঁচতো মন খুশির ছিলনা সীমা।
একসাথে সবাই মিলে করতাম ঘুরাঘুরি,
কার জামাটা সেরা হইছে তাই নিয়েই কতই বাহাদুরি।
কার জামাটা সেরা হইছে তাই নিয়েই কতই বাহাদুরি।
বাবার সাথে নামাজ পড়তে ঈদগাহেতে যেতাম,
ফিরে এসে সেমাই ফিরনি মজা করে খেতাম।
সারাদিন কাটতো মোদের হুই হুল্লোড়ে করে,
এ বাড়ি থেকে ঐ বাড়ি ঈদের কুশল বিনিময়ে।
এ বাড়ি থেকে ঐ বাড়ি ঈদের কুশল বিনিময়ে।
সন্ধ্যা হলেই মনটা বিষণ খারাপ হয়ে যেত,
ভাবতাম তখন ঈশ! ঈদটা যদি প্রতিদিনই আস আসতো।
ভাবতাম তখন ঈশ! ঈদটা যদি প্রতিদিনই আস আসতো।
আড়াই মাস পরে যখন আবার কোরবানির ঈদ আসে, সবার মন তখন খুশিতে আত্বহারা ঠগবগিয়ে নাঁচে।
গরু কিনতে সাথে যাব ধরতাম কত বায়না,
এত এত গরু দেখে বাজার থেকে মন আসতে চায় না।কার গরুটা বড় বেশি কারটা দেখতে সুন্দর,
এসব নিয়েই গবেষণা চলতো মোদের দিনভর।
এত এত গরু দেখে বাজার থেকে মন আসতে চায় না।কার গরুটা বড় বেশি কারটা দেখতে সুন্দর,
এসব নিয়েই গবেষণা চলতো মোদের দিনভর।
ঈদের নামাজ পড়েই হুজুর এক এক করে করতেন গরু জবাই,
পিছন পিছন দলবেঁধে থাকতাম আমরা সবাই।
মাংস রান্না হয়ে গেলে মায়ের কাছে মাংস খাবার বায়না, প্লেট ভরে মাংস খেতাম আর তো দেরী সয় না।
কোথায় গেল সেই দিনগুলি কোথায় সেই দুরন্তপনা, আজকালকার বাচ্ছাদের মাঝে এসব দেখাই যায় না। মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করা মানুষগুলো কোথায় গেলেন চলে?
তাদের হাসিমাখা মুখকানা বিলীন হয়ে গেল।
তাদের হাসিমাখা মুখকানা বিলীন হয়ে গেল।
ঈদ আসে ঈদ যায় বছরে দুইবার ,
বড় হবার পর থেকে সেই আনন্দ নাই আর।
বড় হবার পর থেকে সেই আনন্দ নাই আর।
Comments
Post a Comment