Posts

Showing posts from August, 2024

প্রবাস জীবনের গল্প- সন্তানের ক্ষেত্রে সতর্কতা

Image
সন্তানের ক্ষেত্রে প্রবাসী বাবাদের আরো সতর্ক থাকা উচিত: টে লিফোনে বাবার কাছে ছেলের বাইসাইকেলের বায়না শুনেই একেবারে গদগদ হয়ে ছেলের মাকে বলেই দিলেন ভাল দেখে একটা সাইকেল কিনে দিতে। ছেলের সাথে কথা বলছিলেন পাশে বসেই তাই তাদের কথোপকতন শুনছিলাম ফোন শেষ হতেই আমার দিকে তাঁকিয়ে বললেন অনেক জেদি ছেলে যা চায় দিতেই হয় মনে হলো এ নিয়ে বেশ গর্ববোধ করেন। জিজ্ঞেস করলাম তা ছেলের বয়স কত? প্রতিউত্তরে বললেন এই তো আট বছর হলো ওআচ্ছা বেশ, সাইকেল কেনার টাকা কখন পাঠাবেন? বললেন আজকেই বিকাশের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেব বললাম ভালই। ভাল না বলে কোন উপায় নেই এখন এই বাবাকে কোন ভাবেই আপনি বুঝাতে পারবেন না ,তবে সময় সুযোগ করে বুঝানোর চেষ্টা করব। এবার মুল কথায় আসি উনি বিকাশে বাকীতে টাকা পাঠাবেন ছেলের শখ পুরন করতে, প্রথমত তার জন্য মাস শেষে তাকে এক্সটা পয়সা পে করতে হবে কারণ মাসের মাঝামাঝি সময় প্রবাসীদের হাতে টাকা থাকেনা এসময় বেশীরভাগই বাকীতে টাকা পাঠান পরে মাস শেষে বেতন পেয়ে কিছুটা বেশী দিয়ে পরিশোধ করেন। দ্বিতীয়ত, চাওয়ার সাথে সাথেই দেওয়াতে তার ছেলে এখন থেকেই বুঝে যাবে তার বাবা সুপারম্যান চাইলেই সবকিছু পাওয়া যায়। এই ছেলেটি দিনে দিনে ব...

আয়না- কবিতা আয়না

Image
  আয়না - শওকতুর রহমান আজ সকালে আয়না দেখে চমকে গেলাম নিজেই,  পাক ধরেছে দাড়িতে আর পাঁচ ছয়টা গোঁফে।  চুলগুলা সব ঝড়ে পড়ছে মাথায় পড়ছে টাক, যৌবনকালটা বিদায় নিচ্ছে বৃদ্ধ হতে পড়ছে আমার ডাক মুখের চামড়ায় ভাজ ধরছে চোখের নিচে কালি, রঙিন দিনগুলি মোর কোথায় চলে গেলি? কোথায় গেল দুরন্ত কৈশোর যাচ্ছে চলে যৌবন,  এসব কথা ভাবলেই এখন বিষন্নতায় ভরে উঠে মন। বয়স আমার বাড়ছেই কেবল লাফিয়ে যাচ্ছে দিন, চাহিদাকে পুরণ করতে বাড়ছেই শুধু ঋণ। কিসের নেশায় মত্ত হয়ে ভুলে গেছি সব, ভুলেই আছি কিসের জন্য পাঠিয়েছিলেন রব।  হাসন রাজার কথার মর্ম বুঝিনিতো আগে, সেই গানটি শুনতে এখন বেশতো ভালই লাগে। মাঝে মাঝে আনমনে গেয়ে উঠে মন, কি ঘড় বানাইমু আমি গাইছেন হাসন করিয়া কান্দন।  স্বাদের জীবন ঠিকই তবে শেষ হয়ে যাবে, আফসোস নিয়ে এই পৃথিবী একদিন ছেড়ে যেতে হবে।

কবিতা- আকাশ ও মন

Image
আকাশ ও মন  -শওকতুর রহমান আকাশ মেঘলা হলে মন কেন উদাস হয়? আকাশের দিকে তাঁকিয়ে মন কার সাথে কথা কয়! সৃতিগুলো নিয়ে মন কেন ভেসে বেড়ায় মেঘের সাথে? তবে কি মনের কথাগুলো শুনতে মেঘেরা আঁড়ি পাতে। কতটা কষ্ট পেলে মেঘেরা বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে? চোখ কি তবে ঐ আকাশকেই অনুসরণ করে। মনের মত করেই আকাশ ক্ষনে ক্ষনে বদলায় তার রুপ, কখনো কালো মেঘ কখনো ঝলমলে রোদ। আকাশের বিশালতা দেখে মন বিশাল হতে চায়, এই বিশালতার মাঝে যেন কোন কষ্টই স্থান নাহি পায়।   মন তার প্রতিচ্ছবি খুঁজে পায় আকাশের মাঝে, তাই সখ্যতা দুজনার অমিল পাবেনাকো খুঁজে। বুঝে সেই জন যে তারে করেছে লালন প্রাধান্য দিয়েছে সবার উর্ধ্বে, সেই জনা সুখে থাকে যা বলে মন তাই করে তৃপ্ত নিজে! আকাশ যেমনি গর্জন দিয়ে দেয় ঝড়ের পুর্ভাবাস, প্রতিফলন হয়না সব সময় কখনো হতে হয় নিরাশ! আকাশের মত করে মনের ইচ্ছেগুলো যখন হয়না পূরণ,  তাইতো আকাশের পাণে তাকিয়ে খুঁজে কষ্টের নিবারণ।

পরবাস- প্রবাসীদের নিয়ে কবিতা

Image
পরবাস -শওকতুর রহমান তেইশটি বছর কেঁটে গেল এই পরবাসে,  দাসত্বের বন্ধনে বাঁধা পরে আছি। দাসত্ব প্রথা নাকি বিলীন হয়ে গেছে বহু বছর আগে, এটা শুনার ভুল! দিনের শুরুটা হয় ইউনিফর্ম নামক আবদ্ধ জালে, আর শেষ হয় রাতের প্রথম ভাগে ! এতো প্রতিদিনের রুটিন,এমনি করে সপ্তাহ,মাস,বছর চলে গেল এই দাসত্ব থেকে মুক্তির পথ খুঁজে ফেরে মন, জীবন আজ তার রঙ হারিয়ে ফেলেছে। নাম মুল্যে বিক্রি হয়ে গিয়েছে মুল্যবান সময়, যা কোন মুল্যেই পুরণ হবার নয়। রঙিন দিনগুলি সেই কোথায় হারিয়ে গেছে নাগালের বাইরে, তাকে ফেরানোর সাধ্য কারো নেই। অনুভূতিহীন একটা লম্বা সময় কাঁটিয়ে দেয়ার নামই কি জীবন? কাঁটার আঘাতে রক্তরা ঝরে পরে জমাট বাঁধে তাতে কোন অনুভুতি নেই কিংবা চোখ দুটো পানি শূন্য কোন আঘাতেই আর টপ টপ করে পরে না। অল্প ব্যাথায় যেখানে কাতর আজ সেখানে পাথরের বসবাস, চাপা কষ্টগুলো তৈরি করেছে আজ অন্য এক মানুষ। মেয়াদবিহীন এই জেলখানায় নির্ধারণ থাকেনা মুক্তির তারিখ, এ এক অদৃশ্য বেড়াজাল যা ইচ্ছে করলেই ভাঙা যায় না। পরাধীনতার এই শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পাবার একটাই পথ প্রসারিত, তা হলো চিরসত্য মৃত্যু।

কবিতা: উদ্ভট জগৎ

Image
উদ্ভট জগৎ -শওকতুর রহমান এই জগতের হইল কি ভাই? নাটক দেখে কান্না পায় বাস্তব দেখে হাসি, মিথ্যে ছলনায় বিশ্বাস করে জীবনটাকে দেয় বিলীয়ে গলায় দিয়ে ফাঁসি। সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম দিচ্ছে করে মতিভ্রম, জ্ঞান বুদ্ধি লোপ পেয়েছে দেখলে কান্ডকলাপ, আজে বাজে বঁকছে মানুষ লম্বা লম্বা লেখচারে এ যেন পাগলের প্রলাপ। কেউবা আবার বউকে নিয়ে সুন্দর করে মেকাপ দিয়ে দিচ্ছে বেঁকিয়ে পোজ, নিজের ঘড়ের বউটাকে বিজ্ঞাপনের পন্য বানিয়ে কামাচ্ছে দুই হাতে টাকা রোজ। কারো আবার সাধ জেগেছে পরামর্শ বিক্রি করে নাম কামাবে মোটিভেশনাল স্পীকার, বুঝেনা মানুষ এখন বোকা নয় চালাকি কারে কয় ধরবে যখন নাম দিবে জোকার। কেউবা আবার ঠোঁট দুটোকে উল্টো করে মুখটাকে বেশ ব্যাঁকা করে নাম দেয় সেল্পি, এদের দেখে হাসি পায় আজব মানুষ সাঁজতে চায় দেখিয়ে তাদের ভেল্কি। আজে বাজে গানের কথা সুর ছন্দের খেয়ে মাথা শুনলে পায় হাসি, সোনালী যুগের গানগুলো আজ তাদের কাছে হয়ে গেছে বাসি। জ্ঞানীরা আজ সম্মান নিয়ে হটছেন তারা পিছু, ভাবখানা এমন যেন জানেনই না কিছু। এই জগৎকে বাঁচাতে হলে নাই কোন বিকল্প সু-শিক্ষার, যারা এটা ধ্বংস করেছে ত...

পোশাকে আভিজাত্য -শওকতুর রহমান (দ্বিতীয় খন্ড)

Image
পোশাকে আভিজাত্য : (২য় খন্ড) (দ্বিতীয় খন্ড) য থারীতি এয়ারপোর্টে ওয়েটিং লাউঞ্জে বসে আছি পরবর্তী ফ্লাইটের জন্য যথাসময়ে ফ্লাইট হলো এবং রিয়াদ এসে পোঁছালাম, লাগেজ নিয়ে বাইরে এসে টেক্সির জন্য দাঁড়িয়ে আছি একজন পাকিস্তানি ড্রাইভার আমার কাছে এসে বলল কোথায় যাব আমার গন্তব্যের ঠিকানা বলতেই বলল আমার টেক্সিতে আরো তিনজন যাত্রী আছে তারা ওইখানেই যাবে আমি যদি চাই তাহলে তাদের সাথে যেতে পারি ভাড়া সবাই ভাগ করে দিলেই হবে, তারকথা শুনে গাড়ীর কাছে গিয়ে দেখলাম ঠিক টেক্সি ছিলনা তবে গাড়িটি ভাল গাড়িতে আরো তিনজন লোক বসা ছিল তাদের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম তারা আমার আশেপাশেই যাবে চিন্তা করলাম একা যাওয়ার চেয়ে তাদের সাথে গেলে টাকাও সাশ্রয় হবে সাথে গল্পসল্প করে যাওয়া যাবে, দেশ থেকে এসেছি মনটা এমনিতেই ভাল ছিলনা তো রাজি হয়ে লাগেজটা পিছনে রেখে তাদের সাথে বসলাম আমি সহ চারজন হলো তাই আর দেরী না করে গাড়ি ছেড়ে দিল এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে বেশ কিছুদূর আসার পর হঠাৎ করে অন্য একটি গাড়ি অনেক দ্রুতগতীতে এসে ইন্ডিকেটর দিচ্ছে আমাদের গাড়িটা থামানোর জন্য ভাবলাম হয়তো ড্রাইভারের পরিচিত কেউ হবে কিন্তু যা জানলাম তাতে বেশ ভড়কে গেলাম এরা আসলে ছি...

পোশাকে আভিজাত্য -শওকতুর রহমান (প্রথম খন্ড)

Image
পোশাকে আভিজাত্য: (প্রথম খন্ড) পো শাক হলো মানুষের রুচি,ব্যাক্তিত্ব ও সংস্কৃতির পরিচয়। একজন মানুষ কতটা রুচিশীল তা তার কথাবার্তার পাশাপাশি রুচিবোধের পরিচয় পাওয়া যায় তার পোশাকে। পোশাকের গুরুত্ব নিয়ে বাস্তব কিছু কথা আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরব। মিডিলইষ্টে থাকি আজ অনেক বছর ধরে সেই সুবাদে বেশ কয়েকবার দেশে যাওয়া আসা হয়েছে, একটি জিনিস বেশ খারাপ লাগে দেখতে আর তা হলো পোশাকের ব্যাপারে আমরা বাঙালীরা খুবই অসচেতন বিশেষ করে আমরা যারা মিডিলইষ্টে থাকি। এর কারণ খুঁজে বের করতে গিয়ে দেখা গেছে বেশীর ভাগ তারাই যারা মুলত কাজ করে ভিবিন্ন মাজরায় (ফসল বা খেজুরের বাগানে) অল্প শিক্ষিত মানুষ তাই হয়তো তারা এ ব্যাপারে একেবারেই উদাসিন তবে এককভাবে তাদের দোষারোপ করে লাভ হবে না প্রবাসে আসার আগে যে ট্রেনিং হয় তাতে পোশাক সম্পর্কে ধারণা দেওয়া প্রয়োজন, আবার অনেককেই পাওয়া যায় যারা ভাল কাজ করছেন ভাল পরিবেশে থেকেও পোশাকের ব্যাপারে একেবারেই অসচেতন,পরনের প্যান্টের সাথে শার্ট কেমন হওয়া চাই বা জুতা কেমন পরা উচিত সেদিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই, এমন একটি শার্ট পরেছেন শার্টের কারণে প্যান্ট দেখা যাচ্ছেনা এত লম্বা শার্ট আবার পায়ে এক জোড়া পুরনো ...

প্রবাসীর কান্না- প্রবাসীদের নিয়ে কবিতা

Image
  প্রবাসীর কান্না - শওকতুর রহমান কত বিনিদ্র রজনী কেঁটেছে আমার এই শহরে, কত রাত ভিজিয়েছি বালিশ চোখের জলে। অপরাধীরা জানে তাদের শাস্তি ভোগের কারণ, আমি আজও জানতে পারলামনা নিয়তির এ কেমন আচরণ। অনেকটা বছর কেঁটে গেল এই খোলা জেলখানায়,  জানিনা পাবো কি মুক্তি এই জীবনদশায়। আঁধার কেঁটে কি কোন দিন উঠবে আলো? কখনো কি কেউ নি:স্বার্থ ভাবে আমায় ভাসবে ভাল। নিজেকে নিজে ব্যবহার করেছি এক মেশিনের ন্যায়, জড় বস্তুর মত করে নি:স্বার্থ ভাবে শুধু বিলিয়ে দিয়েছি জীবনটাকে। চাহিদাকে মেরে ফেলেছি গলা টিপে সে অনেকদিন, তাই নতুনভাবে কিছু চাওয়ার অবকাশ নেই। আজকাল নি:সঙ্গতা মাঝে মাঝে গ্রাস করে নেয়, আঁধারে ঢেকে যায় চারদিক সবকিছু অর্থহীন মনে হয়। কোন প্রত্যাশা নেই কারো কাছে নেই কোন অভিযোগ, শুধু চাই ভাল থাকুক সবাই আমার এই ক্ষুদ্র আত্বত্যাগে।

রেমিট্যান্স যোদ্ধা -প্রবাসীদের নিয়ে কবিতা

Image
রেমিট্যান্স যোদ্ধা  - শওকতুর রহমান দে শটারে কেউ ভালবেসে দিয়ে গেছে প্রাণ, কেউবা আবার উন্নয়নে রাখছে অবধান। তোমারা কি ভাই কখনো দেশের জন্য কাঁদো?  ভেজা চোখে কখনো কি দেশের জন্য ভাব?  কখনো কি দেশের জন্য কলিজাটা ছিঁড়ে?  প্রবাসীদের প্রশ্ন কর দেশ ছাড়তে কেমন তাদের লাগে।  মাটির ঘ্রাণ কি পাও তোমরা দেশের মাঝে বসে? দূর থেকেও তাদের নাকে মাটির ঘ্রাণ আসে। ঘুমাতে গেলেই স্বপ্নে সদাই সোনার দেশটা দেখে,  স্বপ্নে তারা সোনার মাটি শরীরেতে মাখে। মাখে। বিদায় বেলা কান্না ভেজা পরিবারের মুখ, মুখ, তাহার চেয়েও অধিক লাগে দেশের জন্য শোক। রেমিট্যান্স ছাড়তে গেলে একচেঞ্জে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, দেশের কথা না ভাবলে কি দরকার হুন্ডিওয়ালা দরজায় দাঁড়িয়ে রয়। অসৎ পথে পাঠালে দেশে টাকা পেত অনেক বেশী, সৎভাবে পাঠিয়ে তাতেই তারা বেজায় খুশি। প্রবাসীরা দেশের জন্য বড় বেশী ভাবে,  দুর্নীতিবাজরা বসে আছে পাচার করে দেশটা লুটে খাবে।  নামেই শুধু রেমিট্যান্স যোদ্ধা প্রতিদানে পায় না কোনমিল কেউ ছাড়েনা করতে অসম্মান সুযোগ পেলেই মারে সবাই ঢিল। কয়েক বছর পরে যখন ছুটি পায় যেতে পারবে দে...

কবিতা- প্রথম প্রেম/ ভালবাসার কবিতা

Image
  প্রথম প্রেম -শওকতুর রহমান কৈশরের দুরন্ত প্রিয়তমা আমার যখন জানতাম না ভালাবাসা কি, তখন থেকেই তোমার ডাগর চোখের চাহনি দেখে পাগল হতাম আমি। একদিন চিরকুটে করে লিখে দিলাম মনের কথাগুলো, সারারাত ঘুম আসেনি যদি উপেক্ষা করে ফিরিয়ে দাও সেই ভয়ে, অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো তোমার সস্মতি সুচক উত্তর পেয়ে। সেদিন থেকে যেদিকে চোখ যায় সবই ভাললাগে, বসন্ত এসেছিল জীবনে তোমার আগমনে। জেগে জেগে রঙিন স্বপ্ন দেখা হয়েছিল শুরু, প্রথম প্রেম এসেছে জিবনে আনন্দে মন তাই উড়ো উড়ো। যখন সামনে এসে দাঁড়াতে লাজুক মুখখানা আর চোখ ঠলমল, হাতটি ধরে বলতে কখনই তোমাকে হারাতে দেবনা, আমাদের ভালবাসা কোনদিন হবেনা বিফল।  ভাগ্যের কাছে হেরেই গেলাম আমরা আজ দুজনার দুটি পথ ভিন্ন, অদৃশ্য শিকলে বাঁধা পড়েছি উড়তে পারিনা নিজের ইচ্ছেমত। দূর থেকে যখন দেখি পুরনো ক্ষতগুলো নাড়া দিয়ে উঠে হাহাকার করে কষ্ট দেয় আমাকে,  ইচ্ছে করে জড়িয়ে ধরে বলি ওগো প্রিয়তমা এ মন এখনো ভালবাসে তোমাকে।

পরিকল্পনা কেন প্রয়োজন? Why need planning?

Image
পরিকল্পনা কেন প্রয়োজন? মা নুষের জীবন সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পরিকল্পনার কোন বিকল্প নেই, একমাত্র সঠিক পরিকল্পনাই পারে জীবনে সাফল্য এনে দিতে। যেমন ধরুন আপনার বাড়ি থেকে ঢাকার দূরত্ব ৩০০/৩৫০ কিলোমিটার, ঢাকায় আপনার একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ তাই যেতে হবে, আপনি প্রথমে কি করবেন নিশ্চয়ই মনে মনে ভাববেন, কোন ট্রেনে যাবেন! নাকি বাসে যাবেন! পথে কোন হোটেলে খাবেন! ঢাকায় কোথায় থাকবেন! কদিন থাকবেন!  যে কাজে যাচ্ছেন সফল হলে কি করবেন! সফল না হলে কি করবেন!  ইত্যাদি, ইত্যাদি  এটার নামই  হচ্ছে পরিকল্পনা যা মনে মনে করে রেখেছেন। এই সামান্য ঢাকা যেতে আপনি সুন্দর একটি পরিকল্পনা মাফিক এগিয়ে যাচ্ছেন অথচ অমুল্য এই জীবনকে পরিচালিত করতে আপনার কোন পরিকল্পনা নেই বিষয়টা অস্বাভাবিক নয় কি? জীবনতো আর দুই দিনের ঢাকা ভ্রমন নয় যা মনে মনে ছক এঁকে রাখলেন এবং সে অনুযায়ী কাজ করলেন।এটা অনেক লম্বা প্রসেস দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়া, তাই সবার উচিৎ জীবন নিয়ে ভবিষ্যতের পরিকল্পনাগুলো লিখিত আকারে রাখা এবং সে অনুযায়ী চলা।পরিকল্পনা দুই ধরণের হতে পারে, ১. স্বল্প মেয়াদী ২. দীর্ঘ মেয়াদী যাদের জীবন বৃত্তান্ত পড়লে আপনাকে অনুপ্রানিত করে...

কবিতা- প্রেম নয় অভিশাপ

Image
  প্রেম নয় অভিশাপ  - শওকতুর রহমান আমার সুখের টিকেট আজ অন্যকারো হাতে, পারলাম না সুখি হতে তার মধুর যন্থনাতে। তাকে পেতে চেষ্টার কোন কমতি রাখিনি আসলে ভাগ্যটাই ছিল বাঁধা , বুঝাতে আজও পারিনি তাকে এটাই নিয়তির খেলা। যখনি নিজেকে নিয়ে ভাল থাকতে চাই তখনি তাহার নিস্পাপ মুখখানা ভেসে উঠে চোখের সামনে, ডেকে বলে কেমনে ভাল আছো আমি তো ভাল নাই। সৃষ্টিকর্তা যা করেন তা মঙ্গলের জন্যেই জানি, মাঝে মাঝে মধ্যরাতে ঘুম ভেঙে দেখি চোখের কোণায় জমা পানি। কষ্টের বোঝা বয়ে চলেছি হয়তবা বয়ে যেতে হবে চিরকাল, কাউকে বলা যায় না কতটা কষ্টে কাঁটছে দিনকাল। ভালবাসার মানে কষ্ট এমন কথা কেউ কখনও বলেনি আগে, শুধু জেনেছিলাম ভালবাসা মানে আনন্দ আর দুটি মনের মিলন! তবে কেন তার প্রাশ্চিত্ত করতে হবে আমাকে সারাটি জীবন। মন ভাঙ্গা যদি বড় পাপ হয় আমি সেই পাপে পাপী, পরিস্থিতি আমাকে বানিয়ে দিল ওর চোখে অপরাধী। পাপ যদি না হত প্রমান করতাম বিলিয়ে দিয়ে নিজের প্রাণ, কতটা ভালবাসি ওকে করা হবেনা প্রমাণ। সময়টা আমার এমন ছিল খানিক আঘাত পেলে হু হু করে উঠতাম কেঁদে, আজ কঠিন আঘাতেও হাসি...

কবিতা-জীবনের বাস্তবতা

Image
  জীবনের বাস্তবতা  - শওকতুর রহমান বাস্তবতার সাথে লড়তে লড়তেই কেঁটে গেল জীবনের অনেকটা পথ, আকাশের দিকে তাঁকিয়ে ভাবছি এই জীবনকে উপভোগ করবো কখন? জানি এই দুনিয়ার কৃতকর্মের ফল ভোগ করতে হবে পরকালে, তাই মনটা ভীষণ অস্তির সেখানে যদি আবারও ভোগ করতে হয় নিজের আসল কৃতকর্মের ফল। আমি যে পাপী গোনাগার নিজের কোন পুণ্য চোখে পড়েনা আমার, তাহলে করবো কিভাবে ক্ষমা পাবার আশা? যদি নিজগুণে দয়াময় করেন ক্ষমা তবে হয়তো পেতে পারি একটু শান্তির নীড়। পড়ন্ত বিকেলে মেঘগুলির ভেসে যাওয়া দেখে মনে প্রশ্ন জাগে, জীবনে দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা আসার আর নয়তো বেশী বাকী, একদিন নিজের অনিচ্ছায় দিব সবাইকে ফাঁকি! পৃথিবী থেকে আমার বিয়োগ কোন কিছুই বদলাবে না, এত চাহিদা, এত আশা আকাঙ্ক্ষার অবসান হবে তখনই, যখন চোখের উপর পড়বে মাটি।

কবিতা- আজও ভালবাসি/ ভালবাসার কবিতা

Image
আজও ভালবাসি -শওকতুর রহমান জীবনের সাথে জড়িয়ে করিতে চাইনি তোমার জীবনটা অন্ধকার, তাইতো কতইনা ভৎসনা করলে, করে গেলে আমায় তীরস্কার। একবার যদি আমার জায়গায় দাঁড়িয়ে দেখতে পেতে কত অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ, নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি কভু নাহি চাইতে ঠিক আমারই মত। দ্বায়িত্বের বোঝায় পিষ্ট হয়ে আমি এখন ছন্নছাড়া মানুষ, যে আমার সাথে বেঁধেছে ঘড় তার জীবনও অন্ধকার। মাঝে মাঝে মনটা বড় কাঁদে আর বড্ড মায়া হয়, অন্যকারো জন্যে নয় শুধুই নিজের জন্যে। কতশত স্বপ্ন বিসর্জন দিতে হয়েছে এই সংক্ষিপ্ত জীবনে, নিজেকে আজ বড় একা লাগে অথচ সবাই আছে আমার তবুও মনে হয় কেউ নেই। তুমি নেই স্বপ্ন নেই আর নেই কোন কিছু পাওয়ার প্রত্যাশা, জীবনের প্রতি কোন অভিযোগ নেই, শুধু মাঝে মাঝে মনটা ভীষণ খারাপ হয়! আর খুঁজতে থাকে জীবনের মানে। আজ আমি বেছে নিয়েছি অন্ধকারেই সুখ, তাইতো এখন ভাল আছি কাউকে করতে হয়না বিমুখ। তোমাকে দূরে ঠেলে আজ শূণ্যতা গ্রাস করেছে আমাকে,  সাত সমুদ্রের ওপারে থেকে বজ্র কন্ঠে বলতে ইচ্ছে করে আজও ভালবাসি তোমাকে।

কবিতা- কোটা আন্দোলন

Image
কোটা আন্দোলন  -শওকতুর রহমান আবু সাঈদ,আসিফ,রাফি, ওয়াসিম ও আদনান, এ যুগের অকুতভয় বীর যোদ্ধারা যারা হাসিমুখে দিয়ে গেলেন প্রাণ। নাম না জানা আরো কতশত বীর প্রাণ বিলীয়ে দিয়েছেন অকালে, অধিকার আদায়ে বিন্দুমাত্র ছাড় দেননি দাবী একটাই কোটা সংস্কারের। বায়ান্ন কিংবা একাত্তরের প্রতিবাদী কন্ঠস্বর দেখা গেল চব্বিশে কোটা আন্দোলনে, আবারো বিজয় তাদেরই হলো যারা মরণকে জয় করতে জানে। বন্দুকের নল দিয়ে থামানো যায় না ন্যায্য অধিকার, ইতিহাসে নতুন করে এ নিয়ে লেখা হবে আবার। নতুন প্রজন্ম নিয়ে অনেকের মাঝেই দেখা দিয়েছিল উদ্বেগ উৎকন্ঠা, ভুল প্রমানিত করল তারা বিলীয়ে দিয়ে নিজের জীবনটা। মানুষের অধিকার আদায়ে মোবাইল ছুঁড়ে দিয়ে উঠতে পারে এ হাতে লাঠি, অন্যায় হতে রক্ষা করবে লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত মাটি। ওরা আমাদের গর্ব ওরাই আমাদের নতুনভাবে বাঁচার অনুপ্রেরণা, দেশের স্বার্থে জীবন তুচ্ছ প্রমানে একটুও পিছপা হলো না। মা, মাটি, দেশ যাদের কাছে প্রাধান্য পেয়েছিল সবার আগে, তারাই মাতৃভূমির জন্য জীবন দিয়েছেন যুগে যুগে।